জনসচেতনতায় নিজে জানুন, আপনার জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে আমাদের জানান

স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী পোশাক প্রাপ্তি

2 min read

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ, যেখানে দেশের একটি বড় অংশ নিম্ন বা স্বল্প আয়ের শ্রেণিভুক্ত। খাদ্য, বাসস্থান, ও চিকিৎসার পাশাপাশি পোশাকও মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর একটি। তবে ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয়, বাজারে পোশাকের উচ্চমূল্য এবং মৌসুমি চাহিদার কারণে এই শ্রেণির মানুষের জন্য উপযুক্ত ও সাশ্রয়ী পোশাক সংগ্রহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পোশাকের প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তব চিত্র

একজন স্বল্প আয়ের ব্যক্তি বা পরিবারে গড়ে মাসিক আয় ৮,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই আয় দিয়ে বাসা ভাড়া, খাবার, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটানোই কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে পোশাকের জন্য আলাদা বাজেট রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

সাশ্রয়ী পোশাকের উৎস

স্বল্প আয়ের মানুষেরা সাধারণত নিম্নোক্ত উৎস থেকে সাশ্রয়ী পোশাক সংগ্রহ করে থাকেন:

  • ফুটপাত ও হকার মার্কেট – পুরাতন বা ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ পোশাক এখানে খুবই কম দামে পাওয়া যায়
  • গার্মেন্টসের ফ্যাব্রিক রিজেক্ট মার্কেট – অনেক গার্মেন্টস পোশাক সামান্য ত্রুটির কারণে বিক্রি করে দেয়, যা গুণগত মানে ভালো কিন্তু দামে কম।
  • দাতব্য সংস্থা ও এনজিওর উদ্যোগ – বিভিন্ন এনজিও, মসজিদ বা সামাজিক সংগঠন মাঝে মাঝে পোশাক বিতরণ করে থাকে।
  • ঈদ বা শীতে "Used Clothing Drive" – কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্যবহারযোগ্য পোশাক সংগ্রহ করে বিতরণ করে।

চ্যালেঞ্জসমূহ

  • ফুটপাতের পোশাক সব সময় মানসম্মত না হওয়া
  • গার্মেন্টস রিজেক্ট পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকা
  • সামাজিক লজ্জা ও মানসিক চাপের কারণে কেউ কেউ এসব উৎস থেকে নিতে অস্বস্তি বোধ করে
  • সচেতনতার অভাব

সম্ভাবনা ও সুপারিশ

  • সরকারি উদ্যোগ – সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ হাট বা দোকান চালু করা যেতে পারে যেখানে কম আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকিতে পোশাক সরবরাহ করা হবে।
  • সামাজিক উদ্যোগ – শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট সংস্থা ও সামাজিক সংগঠনগুলো যৌথভাবে “ক্লথ ব্যাংক” চালু করতে পারে।
  • পুনর্ব্যবহারের সংস্কৃতি গড়ে তোলা – ফ্যাশনের পরিবর্তে প্রয়োজন ভিত্তিক পোশাক ব্যবহারের গুরুত্ব বোঝাতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো দরকার।
  • ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম – একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করা যেতে পারে যেখানে দরিদ্র ব্যক্তিরা তাদের প্রয়োজনীয় পোশাকের অনুরোধ জানাতে পারবেন।

পরিশেষে বলা যায়

স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী পোশাক প্রাপ্তি কেবল মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, এটি একটি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ। যদি সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ একসাথে কাজ করে, তবে সমাজের এই গোষ্ঠীর পোশাকজনিত চাহিদা পূরণ করা সহজতর হবে।

এই পোস্টগুলি আপনার ভাল লাগতে পারে

Janun.org আমাদের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করুন
স্বাগতম! কি জানতে চাচ্ছেন আমাদেরকে জানান।
এখনই শুরু করুন...