✅ গাজরের প্রধান পুষ্টি উপাদানসমূহ:
উপাদান | পরিমাণ (প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে) |
---|---|
ক্যালরি | ৪১ কিলোক্যালরি |
কার্বোহাইড্রেট | ৯.৬ গ্রাম |
চিনি | ৪.৭ গ্রাম |
ফাইবার | ২.৮ গ্রাম |
প্রোটিন | ০.৯ গ্রাম |
ফ্যাট | ০.২ গ্রাম |
ভিটামিন A | দৈনিক চাহিদার প্রায় ৩৩৪% |
ভিটামিন K, B6, C | উল্লেখযোগ্য পরিমাণে |
👁 চোখের জন্য ভিটামিন A-এর দারুণ উৎস
গাজরে থাকা বিটা-ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন A-তে রূপান্তরিত হয়, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও গাজর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
🧡 হৃদযন্ত্রের যত্নে সহায়ক
গাজরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পটাশিয়াম হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত গাজর খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
🧬 ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা
গাজরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন কারোটিনয়েড ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত গাজর খেলে বিশেষ কিছু ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যেতে পারে।
🧘 হজম ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
গাজরে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য গাজর একটি আদর্শ খাবার।
💅 ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
গাজরে থাকা ভিটামিন A ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক উজ্জ্বল রাখে ও বলিরেখা প্রতিরোধ করে। চুল পড়া কমাতেও এটি সহায়ক।
🥗 কীভাবে খাওয়া ভালো?
- কাঁচা গাজর: সালাদে বা স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন।
- সেদ্ধ বা রান্না করা গাজর: হালুয়া, স্যুপ বা তরকারিতে।
- জুস: সকালে খালি পেটে গাজরের জুস খুব উপকারী।
📌 পরিশেষে বলা যায়
গাজর একটি সহজলভ্য, কম ক্যালরি এবং উচ্চ পুষ্টিমূল্যসম্পন্ন সবজি। চোখ, হৃদযন্ত্র, ত্বক, ও হজমের জন্য এটি দারুণ উপকারী। প্রতিদিনের খাবারে গাজর রাখুন, সুস্থ থাকুন।